যশোর প্রতিনিধি: কেশবপুরে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার পর ভাটা মালিকরা পুলিশের কাছে কৃষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করছে।
সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে সাতবাড়িয়া ও বারুইহাটি গ্রামের পুরুষরা বাড়িছাড়া।
বুধবার কেশবপুর প্রেস ক্লাবে সাতবাড়িয়া গ্রামের পারভীনা বেগম সংবাদ সম্মেলনে এ বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় ওই এলাকার অনেক কৃষক ও কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে পারভীনা বেগম আরও বলেন, দুই বছর ধরে সাতবাড়িয়া গ্রামে জনবসতির পাশে তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করে এলাকার ফারুক হোসেন।
এ ঘটনায় এলাকার কৃষকরা ইটভাটা বন্ধের দাবিতে কেশবপুরের নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসকের কাছে ইটভাটা বন্ধের দাবি করেন। একইভাবে বারুইহাটি এলাকার কৃষকরা সংঘবদ্ধভাবে ইটভাটা বন্ধের দাবি করেন। এই জন্য আন্দোলনকারী কৃষক আবদুস সাত্তারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় বলে তিনি জানান।
ভাটা মালিকরা বারুইহাটি ও সাতবাড়িয়া এলাকার কৃষকদের নামে কেশবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ১০-১২ জনের নামে। এরপর এলাকার কৃষকরা ভয়ে রাতে বাড়ি থাকছেন না। যশোরের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ১৫ নভেম্বর ইটভাটা দুটি উচ্ছেদের পর থেকে এলাকার কৃষকদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিলেন ভাটা মালিক ফারুক হোসেন।
এ ঘটনায় এলাকার কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেশবপুর থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাইফুর রহমান, আবুল বাসার, আবদু রহমান শেখ, মেহেদি হাসান কোহিনুর বেগম, নুরুন্নাহার বেগম, লীমা বেগম, নাছিমা বেগমসহ ৩০-৩৫টি কৃষক পরিবার। ভাটা মালিক ফারুক হোসেন ও আবু বকর সিদ্দিক থানায় জিডির কথা স্বীকার করলেও সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেন।